বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হেনস্থা কান্ডের তদন্ত করবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি

8th September 2020 10:22 pm বর্ধমান
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হেনস্থা কান্ডের তদন্ত করবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি


সৌম‍্য বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :   বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজী বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. অংশুমান কর এর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্তার অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিল ইন্টার্নাল কমপ্লেন কমিটি । জানা গেছে   এই রিপোর্টের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্ত ফের হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে দিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । মঙ্গলবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে যতদিন না এই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত কোন ধরনের একাডেমিক কাজে অংশ নিতে পারবেন না অভিযুক্ত অধ্যাপক অংশুমান কর। উল্লেখ্য বিশিষ্ট কবি তথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর অধ্যাপক ডক্টর অংশুমান কর এর বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন ওই বিভাগেরই এক ছাত্রী। এই সংক্রান্ত বেশকিছু অডিও ক্লিপ ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল হয়ে যায়। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি জানায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ, ভারতের ছাত্র ফেডারেশন ও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। তদন্ত শুরু করে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার্নাল কমপ্লেন কমিটি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মঙ্গলবার রাতে ডক্টর অংশুমান কর বলেন আমার সম্পর্কে কি অভিযোগ কোথায় কে করেছে আমি সেটাই জানিনা । বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। ফলে এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।